টানা বর্ষণে তিন জেলায় পানিবন্দী লাখ লাখ মানুষ

কক্সবাজার, মৌলভীবাজার ও রাঙ্গামাটিতে প্রবল বন্যায় লক্ষ লক্ষ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রাম: টানা ৩ দিনের ভারীবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের রাউজান, ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা, সাতকানিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলায় কয়েক লক্ষ মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। সারাদেশের সাথে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি জেলার সাথে বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগ। দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন।

মৌলভীবাজার: জেলার মনু নদ ও ধলাই নদীর পানি বেড়ে প্রতিরক্ষা বাঁধে ৮টি স্থান ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ৫টি ইউনিয়নের অন্তত ১০টি গ্রাম। দুদিনের টানা বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কমলগঞ্জের মুন্সিবাজার ইউনিয়নে করিমপুর, সুনানন্দপুর, বাসুদেবপুর, রহিমপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর, আদমপুর ইউনিয়নের ঘোড়ামাড়া স্থানে ধলাই নদীর পানি বেড়ে বাঁধ ভেঙে গেছে।

মনু নদের কুলাউড়া উপজেলার শরিফপুর, টিলাগাও ইউনিয়নের অন্তত ১০টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। এতে পানিবন্দী হয়েছেন হাজারো মানুষ। ডুবে গেছে আউস ধান, সবজি ক্ষেতসহ গ্রামীণ সড়ক। আকস্মিক বন্যায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী।

রাঙ্গামাটি: প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছে রাঙ্গামাটিতেও। তিন দিনের অবিরাম বৃষ্টিপাত ও সীমান্ত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কাচালং নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলার ১৬টি গ্রাম সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়েছে।

পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। পাহাড়ী ঢল নেমে আসায় বাঘাইছড়ির বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বন্দী মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মার্কেটসহ বিভিন্ন পাকা ভবনে অবস্থান নিয়েছে।

এদিকে হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়।

বুধবার সকাল ৮টায় নদীর পানি বিপদসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা যায়।